ওয়েব ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের (Chhattishgarh) সরকারি স্কুলে নেই শৌচাগার, বাধ্য হয়ে প্রকাশ্যে শৌচকর্ম করতে হচ্ছে ছাত্রী ও শিক্ষিকাদের। এই সংবাদে বিস্মিত হয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করল ছত্তিশগড় হাইকোর্ট (Chattishgarh High Court)। বিলাসপুর (Bilaspur) জেলার অন্তত ১৫০ সরকারি স্কুলে শৌচাগার নেই। আরও ২০০টি স্কুলের শৌচাগার ব্যবহারের অযোগ্য। প্রকাশিত সংবাদ সামনে রেখে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রমেশ সিনহা ও বিচারপতি রবীন্দ্র কুমার আগরওয়াল। ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিবকে ব্যক্তিগত হলফনামা দিয়ে বক্তব্য পেশের নির্দেশ দেওয়া হল।
সংবাদ অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলির শিক্ষার্থীরা ছাড়াও মহিলা কর্মীদের প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে খোলা মাঠে যেতে হয়। এমন পরিস্থিতি এড়াতে তারা জল কম খাওয়ার মতো অস্বাস্থ্যকর পদক্ষেপ করে থাকেন। কিছু মহিলা কর্মী আশেপাশের বাড়িতে অর্থের বিনিময়ে বাথরুম ব্যবহারের সুযোগ করে নিতে বাধ্য হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বুলেট ট্রেন, AI প্রযুক্তি সহ রেল বাজেটে আর কী ঘোষণা হতে পারে?
ক্ষুব্ধ আদালতের মন্তব্য, ছাত্রীদের মধ্যে প্রাথমিক স্কুলের গণ্ডি ছাড়ানোর আগেই বিদ্যালয় ছেড়ে যাওয়ার প্রবণতার এটাই হয়তো মুখ্য কারণ। যদি শিক্ষিকা ও মহিলা কর্মীদের ন্যূনতম প্রাথমিক সুযোগ পেতে লড়াই করতে হয়, সেখানে তাঁরা পূর্ণ ক্ষমতা সহ দায়িত্ব পালন করবেন বলে কী করে আশা করা যায়! বিশেষত যেখানে এমন ব্যবস্থার ফলে তাঁদের শারীরিক ক্ষতি এবং সংক্রমণ হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকে! যেখানে অর্থের অভাব নেই, বিভিন্ন প্রকল্প খাতে সরকার যখন অর্থের বিপুল জোগান দিয়ে যাচ্ছে, সেখানে স্কুল পরিচালনায় এমন গাফিলতি কেন?
ঘুটকু নামের একটি জায়গার নয়াপাড়া বস্তিতে ইন্দিরা আবাস যোজনায় (Indira Awas Yojna) তৈরি একটি মাত্র ঘরে চলে একটি প্রাথমিক স্কুল। শৌচকর্মের প্রয়োজন হলে শিক্ষিকারা ছাত্রীদের নিয়ে বাইরে যান। ছাত্রীরা দেয়াল তৈরি করলে তার আড়ালে তাদের প্রাকৃতিক কাজ সারতে হয়। আরও বেশ কিছু স্কুলের একই রকম পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে প্রকাশিত সংবাদে।
রাজ্য সরকারকে ‘শীতঘুম’ থেকে জেগে উঠে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জোরালো নির্দেশ দিয়ে উচ্চ আদালতের মন্তব্য, সমাজের দুষ্কৃতীদের দ্বারা এইসব ছাত্রী ও মহিলা কর্মীরা যে কোনও সময় নিপীড়নের শিকার হতে পারে। অথচ তাদের সকলেরই স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তা থেকে বঞ্চিত করা অত্যন্ত লজ্জাজনক।
দেখুন অন্য খবর: